পোস্টগুলি

জুন, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাখাল ও পরীর গল্প

ছবি
                (১) চারিদিকে পাহাড় ঘেরা উপত্যকার মাঝে ছিল অপূর্ব সুন্দর এক সরোবর। স্বর্গও লজ্জা পায় এমন সুন্দর পরিবেশ সেখানে। সেই সরোবরের তীরে প্রতি বছর গ্রীষ্মকালে বেড়াতে আসে সাত পরী, সাত বোন। তারা ডানাগুলো একটা গাছের তলায় রেখে আনন্দ করে জলে খেলে বেড়ায়। জনশূন্য চারপাশ। ঠিক সাতদিন ধরে আনন্দ করে আবার ডানাগুলো পরে উড়ে যায় নন্দনকাননে, তাদের নিজের দেশে। এদিকে কাছাকাছি যে কিছু গ্রাম আছে সে খবর তারা না রাখলেও পরীদের সব খবর রাখে কিন্তু সেই গ্রামেরই এক অনাথ রাখাল ছেলে। সে গরু চরায়, বাঁশি বাজায় আর দূর থেকে দেখতে থাকে পরীদের কান্ডকারখানা। একসময় তার খুব ভালো লেগে যায় সবচেয়ে ছোট পরীটিকে। কি অপরূপ মিষ্টি চেহারা! ওকে দেখলেই রাখালের বাঁশিতে বেজে ওঠে স্বর্গীয় সব সুর। দূর থেকে পরীরা তা শোনে আর অবাক হয়ে ভাবে এমন সুন্দর সুর কে বাজায়, এ সুর তো নন্দনকাননের পাখিদেরও অজানা! তারা মুগ্ধ হয়ে শোনে, কিন্তু রাখাল থাকে আড়ালে, তাকে কেউ দেখতে পায় না। একবার হলো কি, রাখালের মাথায় একটা দুষ্টবুদ্ধি জাগলো। পরীরা যখন স্নানে ব্যস্ত, সে চুপিচুপি এসে দা...

নাীল পরীর গল্প

ছবি
                                  নীল অপরাজিতা ফুল থেকে একটি পরী বেরিয়ে এলো । ফুলুফুলু রাজ্যের সবাই তো অবাক ! ভাবছ ফুলুফুলু রাজ্যটা আবার কিরকম ? বলছি শোন ফুলুফুলু রাজ্যে শুধু ফুলেরা বাস করে । তাদের প্রতিবেশী রাজ্যে হলো পুখুপুখু । এই রাজ্যে শুধু পাখিরা বাস করে ।   এখন বলছি সেই পরীর কথা । পরীটির চোখের রঙ নীল । পুরো শরীরে রয়েছে তার নীল রঙের আভা । পুখুপুখু রাজ্যেও এই পরীর কথা পৌঁছে গেল ।   বুলবুলি পাখি পরীর সঙ্গে দেখা করতে এলো । কিন্তু পরী কারো সঙ্গে কোনো কথা বলল না । এভাবে এক সপ্তাহ কেটে গেল । একদিন হঠাৎ পরী গান গাইল ।   শিউলি ফুলপরীর কাছে এসে বলল , বাহ ! তুমি তো অনেক ভালো গান গাও । কি নাম গো তোমার ? আমার নাম নীলপরী ।   তুমি ফুলুফুলু রাজ্যে কেন এসেছ ? আমি ফুল হতে এসেছি । মানে ? আমার খুব ইচ্ছা ...